মূল্যবোধ —সঠিক আচরণ
সহমূল্যবোধ —ভিন্ন কাজের দ্বারা প্রভাব ফেলা,প্রত্যেকটা ভাল কাজের মূল্য আছে
আমি যখন একটা ছোট ছেলে ছিলাম তখন বড় হয়ে ওঠার সময় আমাদের পুরনো বাড়ির চারপাশে অনেকগুলো বাগান ছিল.সেগুলোর মধ্য সবচেয়ে বড় যেটা ছিল তাতে আলুর চাষ হতো.আলু রোপণের সেই দিনগুলো আমার এখনো মনে পড়ে.বাড়ির সকলে সাহায্য করত.আমার বাবা মাটি দিয়ে চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে দিত,তারপরে ,আমার মা,ভাইয়েরা এবং আমি সেখানে কাজ করতে যেতাম.আমার কাজ ছিল আলুর বীজ গুলো একটা সারিতে ফেলে দেওয়া অন্যদিকে আমার মা সেগুলোর পাশে একমুঠো সার ছড়িয়ে দিত.আমার ভাইয়েরা তারপর টাটকা মাটি দিয়ে সেগুলো ঢেকে দিত.
এর পরে অনেক মাস ধরে আমি যখন বাইরে খেলতে যেতাম বাগানের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম যে মাটির তলাতে কি হচ্ছে.ফসলের সময় এলে বাবা যখন মাটি থেকে আলুগুলো বের করে সেগুলোর বিশাল আকার দেখে আমি অবাক হয়ে যেতাম.সেই ছোট বীজগুলো মধুর খাদ্যে পরিণত হয়েছে.এগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয় যেমন সেকা আলু, আলু ভর্তা এবং আমার প্রিয়:স্প্যাগেটি সওসে কম আঁচে আলু রান্না করা.এই সামগ্রীগুলো সারা বছর সম্পূর্ণ পরিবারকে খাবার যোগান দিয়ে যেত.এটা সত্যিই একটা অলৌকিক ঘটনা ছিল.
শিক্ষা:
এই রকম বিশেষ সময়গুলো পিছনে ফিরে তাকালে আমি অবাক হয়ে ভাবি এরকম আরো কত বীজ আমি পুঁতেছি যেগুলো হয়ত অদেখা অবস্থায় অন্য কারুর হৃদয়ে এবং মনেতে বৃদ্ধি পেয়েছে. কতবার ঈশ্বর ব্যবহার করেছেন আমি যা বলেছি অথবা করেছি সেটা অন্য কোন সুন্দর জিনিসে পরিণত করতে ?কত বার স্বর্গ এই ছোট বীজগুলো ব্যবহার করেছে অন্যের আত্মার মিষ্টি পুষ্টি সাধনের জন্য?আমাদের জীবনের প্রতিটা দিন আমরা পৃথিবীর এই বাগানে বিরাজ করি.প্রতিটা দিন আমরা বীজ রোপণ করি যেটা কিনা অপূর্ব কিছুতে পরিণত হয়.আমরা হয়ত দেখতে পাইনা যে দয়াশীল কথা আমরা বলি অথবা স্নেহময় কাজ আমরা করি সেটা থেকে কি ধরনের জিনিস উত্পন্ন হয় কিন্তু ঈশ্বর সেটা দেখতে পান.আমদের প্রয়োজন আমাদের চারপাশের বাগানকে যত্ন সহকারে পরিচর্যা করা এবং ধার্মিকতা,শান্তি এবং সহানুভূতি স্থাপন করা সবার জীবনে যাদের সংস্পর্শে আমরা আসি.
http://academictips.org/blogs/
https://saibalsanskaarbangla.wordpress.com
https://www.facebook.com/moralvaluestoriesbengali/ (Naitik Kahini Samagra )
Translator(অনুবাদক)—Sinchita